বড়লেখা প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের বড়থল গ্রামে দাফনের প্রায় ৯ মাস পর আদালতের নির্দেশে হাজেরা বেগম (৮৫) নামে এক নারীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ। ৯ নভেম্বর সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে ওই নারীর মরদেহ তোলা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
হাজেরা বেগম উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের বড়থল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। এদিকে হাজেরা হত্যা মামলার আসামি জয়নাল হোসেন ও সুমি বেগমকে ৩ দিনের রিমান্ডে শেষে সোমবার বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জানা যায়, চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি বৃদ্ধা হাজেরা বেগমকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে গৃহকর্মী ভিংরাজ বিবি ওরফে ভিঙ্গি ঘরের বিভিন্ন আলমারিতে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রায় ১ মাস সিলেটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি বৃদ্ধা হাজেরা বেগম মারা যান। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হয়। এদিকে নিহত হাজেরা বেগমের ছেলে সেলিম আহমদের করা হত্যা মামলায় পুলিশ পলাতক গৃহকর্মী, হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মৃত আব্দুল হামিদের স্ত্রী ভিংরাজ বিবি ওরফে বেঙ্গি, তাঁর ছেলে জয়নাল হোসেন ও বড়লেখা উপজেলার বড়থল গ্রামের ছৈয়ব আলীর মেয়ে সুমি বেগমকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। সম্প্রতি হত্যা মামলার তদন্তের স্বার্থে হাজেরার বেগমের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের জন্য আদালতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সুব্রত কুমার দাস।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। এরপর গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে ওই নারীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। বড়লেখা থানার তদন্ত কর্মকর্তা রতন দেবনাথ মঙ্গলবার বলেন, তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে হাজেরা বেগমের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই মামলার দুই আসামির ৩ দিনের রিমান্ড শেষে সোমবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়। এরই মধ্যে আসামি সুমি বেগম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে বিজ্ঞ আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিএ/১১ নভেম্বর